স্বদেশ ডেস্ক: ঝিনাইদহের বামনাইলে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে টানা চারদিন অনশন করে অবশেষে প্রেমিক মিঠুন মন্ডলকে বিয়ে করেই ছাড়লেন এক তরুণী। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সামাজিকভাবে স্থানীয় মাতব্বরদের উপস্থিতিতে মন্দিরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
ওই তরুণী বলেন, `আমার বাড়ি মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার বাকলবাড়িয়া গ্রামে। দীর্ঘ চার বছর ধরে মিঠুনের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে তোলে। এমনকি নিয়মিত আমাকে বিভিন্ন স্থানেও নিয়ে যেত মিঠুন।’
‘অনশনরত থাকা অবস্থায় অবশেষে সামাজিকভাবে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়’, যোগ করেন ওই তরুণী।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে ফুরসন্ধি ইউনিয়নের বামনাইল গ্রামের বিমল মন্ডলের ছেলে মিঠুন মন্ডলের বাড়িতে আসেন তার প্রেমিকা। এ সময় কৌশলে প্রেমিকাকে ওই বাড়িতে রেখে পালিয়ে যান মিঠুন। তার পর থেকে বিয়ের দাবিতে মিঠুন মন্ডলের বাড়িতে অনশন শুরু করে ওই তরুণী। এক পর্যায়ে মিঠুন মন্ডল বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করার হুমকি দেয় তিনি।
এ বিষয়ে দফায় দফায় ওয়ার্ড ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সমঝোতার বৈঠক হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রেমিক মিঠুন মন্ডলকে পাওয়া না যাওয়ায় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে তার পরিবারের জিম্মায় রাখা হয় তরুণীকে। তিন দিন পর সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় মিঠুন বাড়িতে আসলে সামাজিকভাবে স্থানীয় মন্দিরে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।